বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন
রিপোর্ট: জি রাজু আহমেদ
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে গোনা গ্রামের আরিফুল ইসলাম পিতার নাম মাফিজুর রহমান প্রবাসে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন এরং টাকা আত্মসাৎ থানায় এজাহার দায়ের ।
আসামী-১। জালাল সরদার (৫২), পিতা-মৃত আনছার সরদার, ২। নাঈম সরদার (৩০), পিতা-জালাল সরদার, সব সাং-দুরমুজখালী, বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার করা হয় আসামীদ্বয় পিতা-পুত্র সম্পির্কিত আদম ব্যবসায়ী দারুন প্রতারক অর্থ আত্মসাৎকারী মানব পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য হইতেছে। ১নং আসামী এলাকার থাকে, ২নং আসামী সৌদী আরবে কাজ করে। পিতা-পুত্র যোগসাযোসে এদেশ থেকে বেকার যুবকদের সৌদী আরবে কাজ দেবে বলে প্রতারনা পূর্বক কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা তাহাদের কাজ আসামীদ্বয় আমাদের আত্মীয় বিধায় বিদেশে সোদী আরবে কাজ দেবে বলে মোঃ আরিফুল ইসলাম (২১) কে উদ্বুদ্ধ করে। ২নং আসামীকে মোবইল যোগে সবকিছু বলা হয়। তিনি আমাদের নিশ্চয়তা দেন। সৌদী আরবে কাজ দিলে তাদেরকে মোট ৫,০০,০০০/-টাকা দিতে হবে। শর্ত মোতাবেক বিগত ইং-০১/০১/২০২৫ তারিখে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে আরিফুল ইসলাম বাড়ি হতে সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার দিকে প্রথম কিস্তি নগদ ২,০০,০০০/-টাকা প্রদান করে। অতঃপর ২য় কিস্তি ১,৫০,০০০/-টাকা ০১/০২/২০২৫ তারিক আসামীদের বাড়িতে সকাল আনুমানিক ০৮.০০ ঘটিকার দিকে প্রদান করা হয়। অতঃপর ৩য় কিস্তি ০৩/০৩/২০২৫ তারিখে নগদ ১,৫০,০০০/-টাকা সকাল আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকার দিকে ১নং আসামীর বাড়িতে ১নং আসামীকে প্রদান করা হয়। অর্থাৎ সর্বমোট ৫,০০,০০০/-টাকা প্রদান করা হয়। অতঃপর, ৩০/০৩/২০২৫ তারিখে ১নং আসামী আরিফুর ইসলামের ভাইপোকে ঢাকায় নিয়ে প্লেনে উঠাইয়া সৌদী আরবে পাঠাইয়া দেয়। ২নং আসামী সৌদী আরবে রিসিপ করে। ২নং আসামী কোন কাজ দেয় না, কোন আকামা দেয় না। পরে বাড়িতে জানতে পারি যে, এটা সাপ্লাই ভিসা। অতঃপর আমরা ১নং আসামীকে চাপ দিলে ২নং আসামী সৌদী আরবে কোন অজ্ঞাত রুমের ভিতরে আরিফুর ইসলাম কে আটক রাখে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে এবং হুমকি দেয় তুই এই সব ঘটনা কাউকে জানালে তোকে হত্যা করা হবে। পরবর্তীতে আরিফুর ইসলাম ওখন থেকে পালাইয়া পার্শ্ববর্তী এক লোকের ছত্রছায়ায় থাকে। অতঃপর ২নং আসামী আরিফুর ইসলাম কে সৌদীতে রাখিয়া দেশে ফেরে। আমরা মোবাইল যোগে এই ঘটনা জানতে পেরে ১ ও ২নং আসামীর কাছে গেলে তাহার বলে যে, ৩০০/-টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে স্বাক্ষর করিলে তোমাদের ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে দেব।বাধো হয়ে স্টাম্পে স্বাক্ষর করে। কিন্তু তবুও ১ ও ২নং আসামী আমার ভাইপো ফেরৎ দেই নাই। অতঃপর, আরিফুর সৌদী আরবে হৃদয়বান ব্যক্তির মাধ্যমে বা সহযোগীতায় বিগত ইং-১৬/০৭/২০২৫ তারিখে দেশে ফিরে কেস দায়েরে বিলম্বের কারণ ঘটিয়াছে। স্বাক্ষী-১। আরাফাত গাজী, পিতা-মৃত আমজিয়ার গাজী, ২। রোকেয়া বেগম, স্বামী-আরাফাত গাজী, উভয় সাং-সুবর্নগাষ্ঠী, থানা-কালিগঞ্জ, ৩। রবিউল ইসলাম, পিতা-আব্দুল হামিদ গাজী, ৪। আব্দুর বারী, পিতা-মৃত জুম্মান গাজী, উভয় সাং-গোনা, ৫। মোঃ লোকমান শেখ, পিতা-মৃত সিরাজ শেখ, সাং-মেহেন্দীনগর, সর্ব থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা ঘটনা জানে।