মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
সাইবার সুরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ধারা সংযোজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই শাহজাহান সিরাজ উপস্থিতি হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৯৫ক ধারা সংযোজনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। তবে জামিন চেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় তা নামঞ্জুর করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার শ্রীশান্তকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। ওইদিন আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে ‘যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের’ অভিযোগ তুলে তার শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্ষোভ শুরু করে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। রাতেই তাকে হেফাজতে নেয় চকবাজার থানা পুলিশ।
বুধবার চকবাজার থানায় বুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার আফগান হোসেন মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই শাজাহান সিরাজ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে ছদ্ম নাম ‘উইকলি সার্ভিস ৯২৩’ (ইংরেজিতে) আইডি ব্যবহার করে মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে চলতি বছরের ৮ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন লেখালেখি করেন তিনি। সেখানে তার মন্তব্যসহ আরো অনেক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ, ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করেন। এ আসামি ছদ্ম নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর পোস্ট করে আসছেন।
দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ছদ্মনামে ব্যবহৃত আইডির প্রকৃত পরিচয়ধারী ব্যক্তি আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করা হয়। আসামির মুসলিম নারী সংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্মীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।